admin

admin

যেতে যেতে-সুভাষ মুখোপাধ্যায়

পরান মাঝি হাঁক দিয়েছে - রাম বসু

তারপর যে-তে যে-তে যে-তেএক নদীর সঙ্গে দেখা। পায়ে তার ঘুঙুর বাঁধাপরনেউড়ু-উড়ু ঢেউয়েরনীল ঘাগরা। সে নদীর দুদিকে দুটো মুখ।এক মুখে সে আমাকে আসছি বলেদাঁড় করিয়ে রেখেঅন্য মুখেছুটতে ছুটতে চলে গেল। আরযেতে যেতে বুঝিয়ে দিলআমি অমনি করে আসিঅমনি করে যাই।বুঝিয়ে দিলআমি থেকেও…

দেশ দেখাচ্ছ অন্ধকারে-নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

দেশ দেখাচ্ছ অন্ধকারে :এই যে নদী, ওই অরণ্য, ওইটে পাহাড়,এবং ওইটে মরুভূমি।দেশ দেখাচ্ছ অন্ধকারের মধ্যে তুমি,বার করেছ নতুন খেলা।শহর-গঞ্জ-খেত-খামারেঘুমিয়ে আছে দেশটা যখন, রাত্রিবেলাখুলেছ মানচিত্রখানি।এইখানে ধান, চায়ের বাগান, এবং দূরে ওইখানেতেকাপাস-তুলো, কফি, তামাক।দম-লাগানো কলের মতন হাজার কথা শুনিয়ে যাচ্ছ।গুরুমশাই,অন্ধকারের মধ্যে তুমি…

একবার তুমি- শক্তি চট্টোপাধ্যায়

বৃষ্টি এলেই - সাদাত হোসাইন

একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো–দেখবে, নদীর ভিতরে, মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছেপাথর পাথর পাথর আর নদী-সমুদ্রের জলনীল পাথর লাল হচ্ছে, লাল পাথর নীলএকবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো । বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়সমস্ত…

ও মেয়ে- শতাব্দী রায়

সেই নারী-কবিতা সিংহ

ও মেয়ে তোর বয়স কত?: কি জানি গো,মা থাকলে বলে দিত।সেই যে বারে দাঙ্গা হল,শয়ে শয়ে লোক মরল,হিন্দুদের ঘর জ্বলল, মুসলমানের রক্ত ঝরল,তখন নাকি মা পোয়াতি,দাঙ্গা আমার জন্মতিথি। ও মেয়ে তোর বাবা কোথায়?: মা বলেছে,গরিব দের বাবা হারায়কেউ তো বলে…

ছিন্ন মুকুল-সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

ছিন্ন মুকুল-সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

ছিন্ন মুকুল – সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের শিশু শোক ও হৃদয়স্পর্শী বাংলা কবিতা “ছিন্ন মুকুল” বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য রত্ন, যা লিখেছেন ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। এই কবিতাটি শিশুদের মৃত্যু নিয়ে লেখা এক হৃদয়বিদারক সাহিত্যকর্ম, যা পাঠককে গভীর বিষাদের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে…

একটি অসম পরকীয়া-মন্দাক্রান্তা সেন

তোমার জন্যে – বীথি চট্টোপাধ্যায়।

কথা বলো মা-বাবার সাথেআমার আপত্তি নেই তাতেআমাদের কথা পরে হবে।সবকিছু দারুন সংযমীগোপনে যে দুঃসাহসী তুমিএকথা জেনেছি যেন কবে? মা তোমাকে পছন্দই করেবাবাও ভাইয়ের মতো ধরেকিন্তু তুমি বন্ধু তো আমারইকাকিমা এল না কেন, সোনা?ওকে যেন কখনও বোলো নাআমি ভালো চুমু খেতে…

প্রিয়তমাসু – তারাপদ রায়

পরান মাঝি হাঁক দিয়েছে - রাম বসু

অনেকদিন পর কাগজ-কলম নিয়ে বসেপ্রথম একটা চাঁদের ছবি আঁকি, সঙ্গে কিছু মেঘ। তারপর যথেষ্ট হয়নি ভেবে গোটা তিনেক পাখি,ক্রমশ একটা দেবদারু ও কয়েকটা কলাগাছ,অবশেষে অনেকগুলি ছানাসহ একটা বেড়াল,এইসব এঁকে এঁকে তবুওকাগজের নীচে চার আঙুল জায়গা বাকি থাকে :সেখানে প্রথমে লিখি,…

কিছু একটা পুড়ছে – নবারুণ ভট্টাচার্য

কিছু একটা পুড়ছেআড়ালে, বেরেতে, তোষকের তলায়, শ্মশানেকিছু একটা পুড়েছেইআমি ধোঁয়ার গন্ধ পাচ্ছিবিড়ি ধরিয়েছে কেউকেউ উবু হয়ে ফুঁ দিচ্ছে উনুনেকেউ চিতায় তুলে দিয়েছেআন্ত্রিক রোগে মৃত শীর্ণতম শিশুওলট পালট খাচ্ছে জ্বলন্ত পাখিকোথাও গ্যাসের সিলিণ্ডার ফেটেছেকোথাও কয়লাখনিতে, বাজির কারখানায় আগুনকিছু একটা পুড়ছেচার কোনা…

মেঘবালিকার জন্য রূপকথা — জয় গোস্বামী

আমি যখন ছোট ছিলামখেলতে যেতাম মেঘের দলেএকদিন এক মেঘবালিকাপ্রশ্ন করলো কৌতুহলে “এই ছেলেটা,. নাম কি রে তোর?”আমি বললাম,. “ফুসমন্তর !” মেঘবালিকা রেগেই আগুন,“মিথ্যে কথা । নাম কি অমনহয় কখনো ?”. আমি বললাম,“নিশ্চয়ই হয় । আগে আমারগল্প শোনো ।” সে বলল,…

ঘর – রুদ্র গোস্বামী

সে আর আমি – শ্রীজাত।

মেয়েটা পাখি হতে চাইলআমি বুকের বাঁদিকে আকাশ পেতে দিলাম। দু-চার দিন ইচ্ছে মতো ওড়াওড়ি করে বলল,তার একটা গাছ চাই।মাটিতে পা পুঁতে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম।এ ডাল সে ডাল ঘুরে ঘুরে ,সে আমাকে শোনালো অরণ্য বিষাদ। তারপর টানতে টানতেএকটা পাহাড়ি ঝর্ণার কাছে…