কবিতার খাতা
কবিতার খাতা
ডাকবে শুধু আমায় তুমিথাকবে শুধু আমার পাশেথাকবে তুমি। কাঁদলে শুধু কাঁদবো আমিবিজন রাতে একলা আমিতোমার পাশে। জোনাক আলো জ্বালবো আমিযেথায় তুমি একলা থাকোআমায় ছেড়ে। ডাকবে লোকে হঠাৎ করেসাতসকালে সাঁঝের বেলাতখন তুমি বাসর ছেড়েএকপা দু’পা তিনপা করেবেড়িয়ে এলে দেখতে পাবে। দাঁড়িয়ে…
ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখদুপুর বেলার অক্তবৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায় ?বরকতের রক্ত। হাজার যুগের সূর্যতাপেজ্বলবে এমন লাল যে,সেই লোহিতেই লাল হয়েছেকৃষ্ণচূড়ার ডাল যে ! প্রভাতফেরীর মিছিল যাবেছড়াও ফুলের বন্যাবিষাদগীতি গাইছে পথেতিতুমীরের কন্যা। চিনতে না কি সোনার ছেলেক্ষুদিরামকে চিনতে ?রুদ্ধশ্বাসে প্রাণ দিলো যেমুক্ত…
প্রাচ্যের গানের মতো শোকাহত, কম্পিত, চঞ্চলবেগবতী তটিনীর মতো স্নিগ্ধ, মনোরমআমাদের নারীদের কথা বলি, শোনো।এ—সব রহস্যময়ী রমণীরা পুরুষের কণ্ঠস্বর শুনেবৃক্ষের আড়ালে স’রে যায়—বেড়ার ফোঁকড় দিয়ে নিজের রন্ধনেতৃপ্ত অতিথির প্রসন্ন ভোজন দেখেশুধু মুখ টিপে হাসে। প্রথম পোয়াতী লজ্জায় অনন্ত হ’য়েকোঁচরে ভরেন অনুজের…
তুমি যদি রবীন্দ্রনাথ হতেআমি হতাম নতুন বৌঠানসূর্যাস্ত জোড়াসাঁকোর ছাদেবৈশাখী ঝড় নতুন বাঁধা গান। তোমার তখন তেইশ চব্বিশতোমার গায়ে পিরাণ দুধসাদা,সকালবেলা ভৈরবী সুর বাজেবাঁধানো ঘাটে বজরাটিও বাঁধা। নদীর ঘাটে নুয়ে পড়েছে গাছজ্যোতিদাদাও ব্যস্ত যথারীতি,সারা দুপুর দুজনে মিলে ভাবিকবিতা লেখার নানান রীতিনীতি।…
ধর্ষণ, আজ এক বিষের নাম,মানবতা কাঁদে নীরবে, কাঁপে সম্মান।ক্ষমতার মোহে অন্ধ, চোখ বুজে সবাই,চারিদিকে হাহাকার , বিচার কোথায় পাই? ধর্মের দোহাই দিয়ে হয় ছলনা,নারী তো নারীই—তার তুলনা কখনো বোন, মা, কখনো ভুল গননা ধিক্কার এই দেখানো প্রতিবাদ, এই ন্যায়ের ভান—সমাজ…
দাউ দাউ পুড়ে যাচ্ছে নতুন বাজার।পুড়ছে দোকান-পাট, কাঠ,লোহা-লক্কড়ের স্তূপ, মসজিদ এবং মন্দির।দাউ দাউ পুড়ে যাচ্ছে নতুন বাজার। বিষম পুড়ছে চতুর্দিকে ঘর-বাড়ি।পুড়ছে টিয়ের খাঁচা, রবীন্দ্র রচনাবলি, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার,মানচিত্র, পুরনো দলিল।মৌচাকে আগুন দিলে যেমন সশব্দেসাধের আশ্রয় ত্যাগী হয়মৌমাছির ঝাঁক,তেমনি সবাইপালাচ্ছে শহর ছেড়ে…
– ‘সে যদি তোমাকে অগ্নিতে ফেলে মারে?’বিনা চেষ্টায় মরে যাব একেবারে — ‘সে যদি তোমাকে মেঘে দেয় উত্থান?’বৃষ্টিতে, আমি বৃষ্টিতে খানখান — ‘সে যদি তোমাকে পিষে করে ধুলোবালি?’পথ থেকে পথে উড়ে উড়ে যাব খালি — ‘উড়বে?– আচ্ছা, ছিঁড়ে দেয় যদি…
–কী চাও আমার কাছে?–কিছু তো চাইনি। আমি!–চাওনি তা ঠিক। তবু কেনএমন ঝড়ের মতো ডাক দাও?–জানি না। ওদিকে দ্যাখোরোদ্দুরে রুপোর মতো জলদূরবর্তী নৌকোচতুর্দিকে তোমাকেই দেখা—সত্যি করে বলো, কবি, কী চাও আমার কাছে।–মনে হয় তুমি দেবী…–আমি দেবী নাই।–তুমি তো জানো না তুমি…
তোমার পায়ে কাঁটা ফুটেছিল।টিটলাগড়ে আলপথে।তখন সন্ধ্যা ঝুঁকে পড়েছে।তুমি উ: বলতেই আমি বললাম, দাঁড়াও, নড়ো না।তোমার পায়ে আমি হাত দেবো, এ জন্য তোমার লজ্জা!তোমার পা তো ফাটা ফাটা নয়, লজ্জা কি!তোমার পা কোদালের মতন বিশ্রী নয়।নরম এবং যতটা ছোট হলে মানায়।জাপানি…
একটি সংলাপ – সুভাষ মুখোপাধ্যায় একটি সংলাপ – সুভাষ মুখোপাধ্যায় কবিতার অংশ মেয়ে: তুমি কি চাও আমার ভালবাসা ? ছেলে: হ্যাঁ, চাই ! মেয়ে: গায়ে কিন্তু তার কাদা মাখা ! ছেলে: যেমন তেমনিভাবেই চাই । মেয়ে: আমার আখেরে কী হবে…