admin

admin

সেই নারী- কবিতা সিংহ

সেই নারী-কবিতা সিংহ

কবিতা “সেই নারী” বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা কবিতার সারমর্ম ও প্রেক্ষাপট “সেই নারী” কবিতাটি একজন নারীর মানসিক যন্ত্রণার গভীর ও স্পর্শকাতর চিত্র। কবিতার মাধ্যমে নারীর ভয়, দুঃখ এবং অবহেলার প্রতিফলন ঘটে। নারী জীবনের একঘেয়ে যন্ত্রণার মাঝে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়াস হিসেবে…

বৃক্ষ-কবিতা সিংহ

বার বার বৃক্ষই কেবলবৃক্ষই আমার কাছে ফিরে ফিরেআসে প্রত্যয়ের মতোএমন প্রত্যয় আর বৃক্ষশাখা ভিন্ন কোথা রাখিবৃক্ষই আমার সবআমার সবেকী!আমার জন্মের মধ্যে রয়ে গেছে তরুর ইশারাবীজ থেকে ক্রমে আমি হাড়ে মাংসে শোণিতে মজ্জায়চোখে কানে সঞ্চারিত হইআমি যাই পত্রগুচ্ছের দিকে ফুলে ও…

গর্জন সত্তর-কবিতা সিংহ

পিস্তল ধ্বনিত করলো তাদের ছুট—দূর থেকে শোনা যাচ্ছে সেই অশ্বক্ষুর ধ্বনিথরথর কেঁপে উঠছে চারদিকছুটে আসছে অগুনতি বর্ণময় অশ্বারোহীগর্জন সত্তর।ঘাড় বেঁকে আছে রোখা ঘোড়ার—টবগব করছে রক্তকেশর কাঁপছে রাগেঅভিমানী নাসায় ফুঁসছে আগুনথরথর কেঁপে উঠছে মাটি—আমি, গর্জন সত্তরের অগুনতি অশ্বারোহীর উল্লাস শুনতে পাচ্ছি!তাচ্ছিল্যের…

রেলগাড়ির গান-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

ঠনং ঠনং ঠনং বাজে ঘণ্টা, আমরা সবাই রেলের গাড়ি।ছুটে আয় ঘরমুখো ভাই, তলপী নিয়ে টিকিট কিনে, পৌঁছে দেব তাড়াতাড়ি।মোরা করব নাকো দেরি, রব মিনিট দুই চারি।শেষে পোঁ পোঁ ভক্ ভক্! ভকত্ ভকত্ ভকত্ ভকত্! পলক মাঝে মুলুক যাব ছাড়ি।মোদের কলের…

খুকুমণি-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এই যে আমাল থোনাল বাবা, থ্যাকলা দিল গলে,লাঙ্গা তুলি থিল হাতে, খেলতে গেল পলে।নিদে হাতে তিপ পলেথি, কলে আঙ্গুল দিয়ে,থোত্ত কাকাল দোয়াত থেকে কালি তুলে নিয়ে।দেক আমাল কেমন কাপল মা দিয়েথে ভাই,ধূলোল উপল বথব নাকো, নোংলা হবে তাই।দিদি দিল লাল…

উৎসর্গ – উৎপলকুমার বসু

দয়িতা, তোমার প্রেম আমাদের সাক্ষ্য মানে নাকি?সূর্য-ডোবা শেষ হল কেননা সূর্যের যাত্রা বহুদূর।নক্ষত্র ফোটার আগে আমি একা মৃত্তিকার পরিত্যক্ত,বাকিআঙুর, ফলের ঘ্রাণ, গম, যব, তরল মধু-ররৌদ্রসমুজ্জল স্নান শেষ করি। এখন আকাশতলে সিন্ধুসমাজেরভাঙা উতরোল স্বর শোনা যায় গুঞ্জনের মতো-দয়িতা, তোমার প্রেম অন্ধকারে…

ফাল্গুন-অশোক বিজয় রাহা

ছিটকিনি নড়ে উপরের জানালায়,একটু কবাট ফাঁক,চুড়ির ঝিলিক একটু আলোর চিড়দুই খানি শাদা হাত :দুইটি কবাট দুই দিকে স’রে যায়গোধূলির আলো পাখা ঝাপটায় চোখে-মুখে-বুকে এসেধু-ধু হাওয়া খেলে এলোচুলে, পর্দায়। নদীর ও-পারে আকাশে আবির-ঝড়,আলতা গলেছে জলে,হাওয়া-জানালায় চোখে-মুখে কাঁপে ঝিকিমিকি আবছায়া,ধু-ধু হাওয়া এলোচুলে,—–…

সময়-অরুণ মিত্র

সময়কে নিয়ে অনেক মজা দেখা গেল।কখনও তাকে ইন্দ্রধনুর রঙে রাঙানো হল,কখনও হাসিতে উছলে তোলা হলবা চাপা কান্নায় কাঁপানো হল,কখনও-বা তাকে হৃদয়ে হৃদয়েবাজানো হল। সৌরভ বিষাদের আভা কৌতুকউজ্জ্বল পথ ধ্যানের সুষমা ধূপছায়া,কত রকম। চোখ নাক কান খুলেই রাখো,বোধহয় দৃ্শ্যের চূড়ান্তে আসা…

বিশ্বাস অবিশ্বাস-অরুণ চক্রবর্তী

বিশ্বাস নাম লিখিয়েছে তর্কের খাতায়বিশ্বাস নাম লিখিয়েছে রক্তের খাতায়বিশ্বাস নাম লিখিয়েছে মৃতুর খাতায়শ্মশানের কাছে দিনযাপনপুরনো দিনলিপিতে যা কিছু ছিল নির্বাসনরথে লংকাপথেকলেজ স্ট্রীটের সরু গলিতে অনেক ভীড় জমতো বিশ্বাসের বই কিনতেপ্রচারতরঙ্গ সব বিশ্বাসের ছবি আঁকতো আজকাল গলায় মালা দিয়ে কিছু বিশ্বাস উটপাখির…

কাশ্মীরি খেমটা-অমৃতলাল বসু

টুকটুকে তোর পা দুখানি, আলতা পরাই আয়।চটক দেখে অবাক হয়ে, থাকবি সুখে তায়।আগে করবি যতন পায়ে, শেষেতে সোনা গায়ে,পা-দুখানি ধরলে পরে, মুখের পানে চায়।সোনেলা আঙুলগুলি, অ ফুট চাঁপা কলি,তুলি করে আলতা দিলে বাহার খুলে যায়,ঘুরে ফিরে মনচোরা লুটিয়ে পড়ে পায়।