admin

admin

গণতন্ত্র- আদিত্য অনীক

গণতন্ত্র- আদিত্য অনীক

ছেলেটি বললো বাবা গণতন্ত্র কী?বাবা কপালে ভাঁজ ফেলে বললেন,এক কথায় বলা মুশকিল। গণতন্ত্রের আছে অনেক উপাদান,প্রত্যেকের স্বতন্ত্র অবদান। যেমন ধর আমি উপার্জন করি সংসারে টাকা আনি-আমি পুঁজিপতি, সেই টাকা খরচ করে তোমার মা সংসার চালান-তিনি সরকার,তোমার দাদু উপর থেকে সব…

মা- বীথি চট্টোপাধ্যায়

মা

আমার মায়ের ডাকনাম রোদ্দুরআমাকে স্পষ্ট মেঘ বলে চেনা যেত,এভাবেই আমি এবং আমার মাসম্পর্কটি মেঘ রোদ্দুর পেত। সম্পর্কটি দূরপাল্লার রেলমার কোল ঘেঁসে আট বছরের ভয়,সম্পর্কটি বিকেলবেলার ছাদেবাংলায় লেখা বর্ণের পরিচয়। এভাবেই আমি এবং আমার মাজ্যোৎস্নারাত্রে ঘুমপাড়ানির সুর,সম্পর্কটি পাখির কলস্বর-আমার মায়ের ডাকনাম…

সেই গল্পটা – পূর্ণেন্দু পত্রী

আমার সেই গল্পটা এখনো শেষ হয়নি।শোনো।পাহাড়টা, আগেই বলেছিভালোবেসেছিল মেঘকেআর মেঘ কী ভাবে শুকনো খটখটে পাহাড়টাকেবানিয়ে তুলেছিল ছাব্বিশ বছরের ছোকরাসে তো আগেই শুনেছো। সেদিন ছিল পাহাড়টার জন্মদিন।পাহাড় মেঘেকে বললেআজ তুমি লাল শাড়ি পরে আসবে।মেঘ পাহাড়কে বললেআজ তোমাকে স্নান করিয়ে দেবো চন্দন…

যেতে যেতে-সুভাষ মুখোপাধ্যায়

তারপর যে-তে যে-তে যে-তেএক নদীর সঙ্গে দেখা। পায়ে তার ঘুঙুর বাঁধাপরনেউড়ু-উড়ু ঢেউয়েরনীল ঘাগরা। সে নদীর দুদিকে দুটো মুখ।এক মুখে সে আমাকে আসছি বলেদাঁড় করিয়ে রেখেঅন্য মুখেছুটতে ছুটতে চলে গেল। আরযেতে যেতে বুঝিয়ে দিলআমি অমনি করে আসিঅমনি করে যাই।বুঝিয়ে দিলআমি থেকেও…

দেশ দেখাচ্ছ অন্ধকারে-নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

দেশ দেখাচ্ছ অন্ধকারে :এই যে নদী, ওই অরণ্য, ওইটে পাহাড়,এবং ওইটে মরুভূমি।দেশ দেখাচ্ছ অন্ধকারের মধ্যে তুমি,বার করেছ নতুন খেলা।শহর-গঞ্জ-খেত-খামারেঘুমিয়ে আছে দেশটা যখন, রাত্রিবেলাখুলেছ মানচিত্রখানি।এইখানে ধান, চায়ের বাগান, এবং দূরে ওইখানেতেকাপাস-তুলো, কফি, তামাক।দম-লাগানো কলের মতন হাজার কথা শুনিয়ে যাচ্ছ।গুরুমশাই,অন্ধকারের মধ্যে তুমি…

একবার তুমি- শক্তি চট্টোপাধ্যায়

একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো–দেখবে, নদীর ভিতরে, মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছেপাথর পাথর পাথর আর নদী-সমুদ্রের জলনীল পাথর লাল হচ্ছে, লাল পাথর নীলএকবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো । বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়সমস্ত…

ও মেয়ে- শতাব্দী রায়

ও মেয়ে তোর বয়স কত?: কি জানি গো,মা থাকলে বলে দিত।সেই যে বারে দাঙ্গা হল,শয়ে শয়ে লোক মরল,হিন্দুদের ঘর জ্বলল, মুসলমানের রক্ত ঝরল,তখন নাকি মা পোয়াতি,দাঙ্গা আমার জন্মতিথি। ও মেয়ে তোর বাবা কোথায়?: মা বলেছে,গরিব দের বাবা হারায়কেউ তো বলে…

ছিন্ন মুকুল-সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

ছিন্ন মুকুল সত্যেন্দ্রনাথ দত্য

সবচেয়ে যে ছোট্ট পিঁড়িখানিসেইখানি আর কেউ রাখে না পেতে,ছোট থালায় হয় নাকো ভাত বাড়া,জল ভরে না ছোট্ট গেলাসেতে;বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে যে ছোটখাবার বেলায় কেউ ডাকে না তাকে,সবচেয়ে যে শেষে এসেছিলতারি খাওয়া ঘুচেছে সব আগে। সবচেয়ে যে অল্পে ছিল খুশিখুশি ছিল…

একটি অসম পরকীয়া-মন্দাক্রান্তা সেন

অনন্ত, মেহেদী পাতা দেখেছো নিশ্চয়ই

কথা বলো মা-বাবার সাথেআমার আপত্তি নেই তাতেআমাদের কথা পরে হবে।সবকিছু দারুন সংযমীগোপনে যে দুঃসাহসী তুমিএকথা জেনেছি যেন কবে? মা তোমাকে পছন্দই করেবাবাও ভাইয়ের মতো ধরেকিন্তু তুমি বন্ধু তো আমারইকাকিমা এল না কেন, সোনা?ওকে যেন কখনও বোলো নাআমি ভালো চুমু খেতে…

প্রিয়তমাসু – তারাপদ রায়

অনেকদিন পর কাগজ-কলম নিয়ে বসেপ্রথম একটা চাঁদের ছবি আঁকি, সঙ্গে কিছু মেঘ। তারপর যথেষ্ট হয়নি ভেবে গোটা তিনেক পাখি,ক্রমশ একটা দেবদারু ও কয়েকটা কলাগাছ,অবশেষে অনেকগুলি ছানাসহ একটা বেড়াল,এইসব এঁকে এঁকে তবুওকাগজের নীচে চার আঙুল জায়গা বাকি থাকে :সেখানে প্রথমে লিখি,…