কবিতার খাতা
কালচক্র – হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
বারেক এখনও কি রে দেখিবি না চাহিয়া,—উন্নত গগন-পরে, ব্রহ্মাণ্ড উজ্জ্বল ক’রে উঠেছে নক্ষত্র কত নবজ্যোতি…
বারেক এখনও কি রে দেখিবি না চাহিয়া,—উন্নত গগন-পরে, ব্রহ্মাণ্ড উজ্জ্বল ক’রে উঠেছে নক্ষত্র কত নবজ্যোতি…
কমরেড, আজ নবযুগ আনবে না ?কুয়াশাকঠিন বাসর যে সম্মুখে |লাল উল্কিতে পরস্পরকে চেনা—দলে টানো হতবুদ্ধি…
শুন্ছ দাদা! ঐ যে হোথায় বদ্যি বুড়ো থাকে,সে নাকি রোজ খাবার সময় হাত দিয়ে ভাত…
আর যেখানে যাও না রে ভাই সপ্তসাগর পার,কাতুকুতু বুড়োর কাছে যেও না খবরদার!সর্বনেশে বৃদ্ধ সে…
ভুলে যাওয়া গন্ধের মতোকখনো তোমাকে মনে পড়ে।হাওয়ার ঝলকে কখনো আসে কৃষ্ণচূড়ার উদ্ধত আভাস।আর মেঘের কঠিন…
ঝর্ণা! ঝর্ণা! সুন্দরী ঝর্ণা!তরলিত চন্দ্রিকা! চন্দন-বর্ণা! অঞ্চল সিঞ্চিত গৈরিকে স্বর্ণে, গিরি-মল্লিকা দোলে কুন্তলে কর্ণে,তনু ভরি’…
কুকুর আসিয়া এমন কামড়দিল পথিকের পায়কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটেবিষ লেগে গেল তায়। ঘরে ফিরে এসে…
ছিপখান তিন-দাঁড় –তিনজন মাল্লাচৌপর দিন-ভোরদ্যায় দূর-পাল্লা! পাড়ময় ঝোপঝাড় জঙ্গল-জঞ্জাল, জলময় শৈবাল পান্নার টাঁকশাল |কঞ্চির তীর-ঘরঐ-চর…
মধুর চেয়ে আছে মধুরসে এই আমার দেশের মাটিআমার দেশের পথের ধূলাখাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি। চন্দনেরি…
হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;-তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণপরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি…
বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে।করুণার সিন্ধু তুমি, সেই জানে মনে,দীন যে, দীনের বন্ধু !- উজ্জল…
আজ দেখি এলুমিনিয়াম বাক্সে গোছ করা আমারই মড়াঅর্ধেক পাঁজর পুড়ে গেছে রাবার জ্বালানো আঁচেআমাকে ক্ষমা…
প্রিয়াংকা বড়ুয়া তোরঠোঁটের মিহিন আলোআমাকে দে না একটু ইলেকট্রিসিটি নেইবছর কয়েক হলআমার আঙুলে হাতে তোর…
অবন্তিকা, অতি-নারী, অধুনান্তিকাপঞ্চান্ন বছর আগে চৈত্রের কোনারকেলোডশেডিঙের রাতে হোটেলের ছাদেঠোঁটের ওপরে ঠোঁট রেখে বলেছিলিচুমু প্রিন্ট…
হোক পোড়া বাসি ভ্যাজাল মেশানো রুটিতবু তো জঠরে, বহ্নি নেবানো খাঁটিএ এক মন্ত্র ! রুটি…
ক্রোধ যা অগ্নির মতোআমাকে দিও না আরঘৃণা যা অগ্নিতে ঘৃতআমাকে দিও না আর । আমার…
আমার সন্তান যাক প্রত্যহ নরকেছিঁড়ুক সর্বাঙ্গ তার ভাড়াটে জল্লাদ ;উপড়ে নিক চক্ষু, জিহ্বা দিবা-দ্বিপ্রহরেনিশাচর শ্বাপদেরা…
তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত “চাচাআপন বাঁচা”-র ধ্রুপদী চলচ্চিত্র ;যদিও নিজেকে সে তুলতে চায় সে…
মানে না সে জন্ম নিয়ন্ত্রণ।তারই অপত্য সবঝাঁকে ঝাঁকে জন্মায় আর ওড়ে,বাতাসে তাদেরই ভন্ ভন্। কেউ…
ধর্ম আমাদের ভিন্ন পরিচয়ে আমরা মনুষ্য,দেশ মায়ের দামাল ছেলে বীরত্বে শীর্ষ। সত্যের পূজারী মোরা দেশের…
অক্ষয় হোক বন্ধন ভ্রাতৃত্বের,সুখ-দুঃখের সাথী একে অপরের।অক্ষয় হোক বন্ধন হৃদয়ের,উদ্ভাসিত করে আবেগ অন্তরের।অক্ষয় হোক বন্ধন…
বাংলা আমার মাতৃভাষামায়ের হাত ধরে শেখা,শ্রুতি মাধুর্যে সদাই খাসামধু দিয়ে কথা মাখা।মাতৃ ভাষা আমাদের গর্বপ্রাণের…
পশ্চিম আকাশে কালো মেঘের গুরুগুরু,এই বুঝি কালবৈশাখী ঝড় হবে শুরু।আকাশে প্রচন্ড শব্দে বিদ্যুতের ঝলকানি,বজ্রপাতের আতঙ্কে…
অভুক্ত শিশুটি দাঁড়িয়ে আছে পথে,পরিচিত সে ছিন্ন পোশাকের সাথে।কেউ নেয়নি শিশুটির দায়িত্ব কাঁধে। পথচলা দায়…
করিতে পারি না কাজসদা ভয় সদা লাজসংশয়ে সংকল্প সদা টলে,-পাছে লোকে কিছু বলে। আড়ালে আড়ালে…
অন্ধকার মরণের ছায়কতকাল প্রণয়ী ঘুমায়?—চন্দ্রাপীড়, জাগ এইবার।বসন্তের বেলা চলে যায়,বিহগেরা সান্ধ্যগীত গায়,প্রিয়া তবু মুছে অশ্রুধার।মাস,…
“প্রণয়?”“ছি!”“ভালবাসা—প্রেম?”“তাও নয় ।”“সে কি তবে?”“দিও নাম, দিই পরিচয়—আসক্তি বিহীন শুদ্ধ ঘন অনুরাগ,আনন্দ সে নাহি তাহে…
নাই কিরে সুখ? নাই কিরে সুখ?— এ ধরা কি শুধু বিষাদময়?যতনে জ্বলিয়া কাঁদিয়া মরিতে কেবলি…
সেই নারী অধোনেত্রে পিছনে জগৎ রেখে স্থিরপৃথিবীর মত সেই অন্য এক পৃথিবীতে একাচলে যাবে মুখ…
বার বার বৃক্ষই কেবলবৃক্ষই আমার কাছে ফিরে ফিরেআসে প্রত্যয়ের মতোএমন প্রত্যয় আর বৃক্ষশাখা ভিন্ন কোথা…
পিস্তল ধ্বনিত করলো তাদের ছুট—দূর থেকে শোনা যাচ্ছে সেই অশ্বক্ষুর ধ্বনিথরথর কেঁপে উঠছে চারদিকছুটে আসছে…
ঠনং ঠনং ঠনং বাজে ঘণ্টা, আমরা সবাই রেলের গাড়ি।ছুটে আয় ঘরমুখো ভাই, তলপী নিয়ে টিকিট…
এই যে আমাল থোনাল বাবা, থ্যাকলা দিল গলে,লাঙ্গা তুলি থিল হাতে, খেলতে গেল পলে।নিদে হাতে…
দয়িতা, তোমার প্রেম আমাদের সাক্ষ্য মানে নাকি?সূর্য-ডোবা শেষ হল কেননা সূর্যের যাত্রা বহুদূর।নক্ষত্র ফোটার আগে…
ছিটকিনি নড়ে উপরের জানালায়,একটু কবাট ফাঁক,চুড়ির ঝিলিক একটু আলোর চিড়দুই খানি শাদা হাত :দুইটি কবাট…
সময়কে নিয়ে অনেক মজা দেখা গেল।কখনও তাকে ইন্দ্রধনুর রঙে রাঙানো হল,কখনও হাসিতে উছলে তোলা হলবা…
বিশ্বাস নাম লিখিয়েছে তর্কের খাতায়বিশ্বাস নাম লিখিয়েছে রক্তের খাতায়বিশ্বাস নাম লিখিয়েছে মৃতুর খাতায়শ্মশানের কাছে দিনযাপনপুরনো…
টুকটুকে তোর পা দুখানি, আলতা পরাই আয়।চটক দেখে অবাক হয়ে, থাকবি সুখে তায়।আগে করবি যতন…
কত মানুষের ব্যথা পুঞ্জ হয়ে মেঘেআকাশে ঘনায় উদ্বেগে।গামান্তের রুদ্ধ বুকে কার কাঁদা,মর্মান্তিক কোপা মৃত্যু-বাধা,জনে জনে…
লেখার চেয়ে দেখা ভালো,সবচেয়ে ভালো বিস্ময়–এই যে তুমি কুড়মুড় কুড়মুড় মুড়ি চিবোও,অদ্ভুত শব্দ হয়ফড়িং চিবুতে…
কাক তা সে যত কালোই থাকহোক না কেন বেসুরো তার ডাকতবু কাকের মাংস খায় না কোন…
এখনো কথাগুলো মৌমাছি হয়ে ওড়ে প্রতিস্বরেআর অহেতুকী আগুনে তাদের পাখাদুটি পোড়েকী যে সেই তীব্র আকর্ষণ…
বিধি আমার বামে থাকে বাস্তবতা ডানেসুখের ভেতর দুঃখ কষ্ট অনেকখানি টানে একটু একটু করে যখন…
মানুষেরা নাকি এক সেকেন্ডে চার ফুট হাঁটতে পারে সাধারণতবারো কোটি মানুষ আমরাআমরা সবাই একসঙ্গে হাঁটলে মোট আটচল্লিশ কোটি ফুটঅর্থাৎ ষোল কোটি গজ, তার মানেএক সেকেন্ডে প্রায় নব্বই হাজার নয় শ দশ মাইলএগিয়ে যেতে পারি স্বাধীনতা পাওয়ার পর বিশ বছর পার হয়ে গেছেঅথচ আমরা সবাই একই জায়গায় একই বিন্দুতেদাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দৌড়িয়ে মরছি সব সময়এক ইঞ্চিও অগ্রসর হতে পারছি না ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুকে ভুলতে বসেছিজয় বাংলা নামক দীপ্র বজ্রনির্ঘোষ ভুলতে বসেছিসাতই মার্চের অতন্দ্র স্বাধীনতার ডাক ভুলতে বসেছিভাসানীর আস্সালামুআলাইকুম ভুলতে বসেছিপাকসেনা, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদেরঅমানুষিক অত্যাচারের কথা ভুলতে বসেছিআমাদের মা-বোনদেরধর্ষিত হবার কথা ভুলতে বসেছি ‘প্রতিটি বাঙালি মেয়েকে গর্ভবতী করেখাঁটি পাকিস্তানি সন্তানের জন্ম দেব’ – শুয়োরের বাচ্চাদেরসেই রক্তে-আগুন-জ্বালানো সব কথা ভুলতে বসেছিআমরা মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভুলে গেছিআমরা স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা ভুলে গেছি আসলে এতো ভুলোমন নিয়েস্বাধীনতা রক্ষা করা যায় না তা হলে স্বাধীনতাকে কীভাবে রক্ষা করা যায়?সেকেন্ডে মাত্র চার ফুট খানিক এগিয়ে গেলেইএকে রক্ষা করা যায় আসুন স্বাধীনতা যুদ্ধকে বুকের মাঝখানে রেখে তাই একসঙ্গেআমরা সবাই এক সেকেন্ডে চার ফুট পথ এগিয়ে যাই বন্ধুগণ এক সেকেন্ডে মাত্র চার ফুট খুব বেশি কিছু নয়।
যে শহরে আমি নেই আমি থাকবো না সে শহরে যুদ্ধ শেষেরভাঙা-পোড়ো একটা এয়ারপোর্টের মতো বেঁচে…
রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?সেতারা, হেলার এখনো ওঠেনি জেগে?তুমি মাস্তলে, আমি…
কোন শালা নিজের গলায় নিজে ছুরি বসাতে পারে?খামাখা আমাকে ভিতু বলে কি ফল লাভ হবে…
আমি তোমার সামনে আবার নতজানু হয়েছি, নারী না, প্রেমে…
আমাকে তুমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছ ইতিহাসের সামনেআমার কাঁধে দিয়েছ স্টেনগান, কোমরবন্দে কার্তুজ, …
দূতাবাসে উড়ছে পতাকাঅর্থাৎ স্বাধীন আমরা এ-কথা মানতেইহয়, রাষ্ট্রীয় সনদ আছে দেশেদেশে আমরা স্বাধীন;তবু মনে হয়…
নখরে জ্বালিয়ে রাখি লক্ষ্যের দীপ্র ধনুকযেন এক শব্দের নিষাদ এই নির্মল নিসর্গে বসে কাঁদি, তবুসেই…
কিশোর তোমার দুইহাতের তালুতে আকুল সূর্যোদয়রক্ত ভীষণ মুখমণ্ডলে চমকায় বরাভয়।বুকের অধীর ফিনকির ক্ষুরধারশহিদের খুন লেগেকিশোর…
পাতা খবর নিচিলো হাওয়ারবাসের অপেক্ষা করছিলো মেয়েটিদুজনেই কাস্টিং-এ যাবেবিকেলের ঘাড়ে চড়ে সাত ডিগ্রিচোঁরছিলে ঢুকে পড়লেওদু’জনে…
আমি আসিও না, যাইও না কাছেআবেগ শুধু আসা-যাওয়া করেএই রহস্যের তামাশা জানিয়ে দিইআগুন পানি বাতাসের…
অ্যাসফল্ট চষে-চষে দেখা হলো গ্রীষ্মের প্রতিভা!রাস্তায়, দোকানে, পার্কে, কুকুরের পিঠে। শীততাপঘর ছাড়া সবাই প্রচণ্ড এলোমেলো।…
হে নবীনা, এই মধ্য-ম্যানহাটানে বাতাসের ঝাপটায়তোমার হঠাৎ খুলে যাওয়া উদ্দাম চুলআমার বুকের ‘পর আছড়ে পড়লোচিরকালের…
আজ রাত। সৃষ্টির প্রপাত যেনআমাকে আমুণ্ডু গ্রাস করে নিল।অন্ধকারে জ্বলে উঠল বিদ্যুতের ফনাঢেলে গেল বিষ…
মানুষ আমরা বাঙালি আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে,মানুষবাঙালি মুক্তস্বাধীন শতশতাব্দী শেষে;অমিতসাহসী প্রমিতবাঙালি শেখ মুজিবের বেশে। নিকষিত যার…
দূরে নীল পাহাড়ের কোলে ঘুমে কাদা শাদা মেঘতার তলে কুয়াশামোড়া ঘরবাড়ি মানবসংসারসেইখানে নীমিল বাদলে ভিজে…
তোমার রহমতি নাম দিয়ে কত কিইনা অসাধ্য সাধন হয়;প্রথমবার পোয়াতি বেলায়ই ছগির মিয়া মদিনা যাইবে…
পৃথিবীর গোধূলিতে যেখানে আজও হরিণেরাভাঙে পিপাসিত হৃদয়ের আমলকীতার তীরে নদী এক নদীর মতন অবিরামস্পন্দিত জীবন-ছন্দে…
বর্ষার বিষণ্ণ চাঁদ এ রাতেও উঠেছে তেমনি যেমন সে উঠেছিল হাজার বছর আগেকারবৃষ্টি-ধোয়া আসমানে। সে রাত্রির…
তোমারি ক্লান্তির মধ্যে আবর্তিত চেনো কি আমাকেসমুদ্রের ব্যাপ্তি আমি অরণ্যের চির আন্দোলনআমার অস্থির গানে উচ্ছ¡সিত…
এই এক গাঁও, ওই এক গাঁও — মধ্যে ধু ধু মাঠ,ধান কাউনের লিখন লিখি করছে…
আমাদের মেসে ইমদাদ হক ফুটবল খেলোয়াড়,হাতে পায়ে মুখে শত আঘাতের ক্ষতে খ্যাতি লেখা তার।সন্ধ্যা বেলায়…
আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর,আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে…
যে যাবার সে যাবেইহয়তো পথের দুইধারে উষ্ণতা ছড়াবে অকাতরে,কিছুটা কাঁঠালিচাঁপা গন্ধ তার মানে-অভিমানে,মেঘের হতাশা তবু…
কী আসে যায় তোমায় যদি হারিয়ে ফেলি স্বপ্ন জালে,হারাতে হারাতে নিঃস্ব যদি হতেই পারিঅনাগত দিন…
ঢেউ ডুবে যায় চোখের ভেতরবুকের ভেতর তুফান;সবুজতর বাতাসে কাঁপেনতুন রোয়া ধান।জলে ভাসে চোখের তারানয়নে অবিশ্বাসহারিয়ে…
জন্মই আমার আজন্ম পাপ, মাতৃজরায়ু থেকে নেমেই জেনেছি আমিসন্ত্রাসের ঝাঁঝালো দিনে বিবর্ণ পত্রের মত হঠাৎ…
বিক্ষুব্ধ এই বিশ্বটা যখন টগবগ করে ফোটে,বিভ্রান্ত মানুষরা যখন ভুলে যায় নিজ নাম।জীবনের দহন রৌদ্দুরে…
অনন্ত অসীম প্রেমময় তুমিবিচার দিনের স্বামী।যত গুণগান হে চির মহানতোমারি অন্তর্যামী। দ্যুলোক-ভূলোক সবারে ছাড়িয়াতোমারি চরণে…
বৈশাখে আবার আমি তোমাকে ভালোবাসি।স্বপ্নে চলে যাই আমার সুদূর ভেনিসে,গণ্ডোলায় বসি মুখোমুখি সারারাত,ধুয়ে যাচ্ছে পৃথিবী…
স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার ? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনোচারকোটি পরিবারখাড়া রয়েছি তো ! যে-ভিত…
উচ্চারণগুলি শোকেরলক্ষী বউটিকেআমি আজ আর কোথাও দেখিনা,হাঁটি হাঁটি শিশুটিকেকোথাও দেখিনা;কতগুলি রাজহাঁস দেখি,নরম শরীর ভরা রাজহাঁস…
আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি।আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি-তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিলোতাঁর পিঠে রক্তজবার মতো…
ট্রাক ! ট্রাক ! ট্রাক !শুয়োরমুখো ট্রাক আসবেদুয়োর বেঁধে রাখ।কেন বাঁধবো দোর জানালাতুলবো কেন খিল…
তিতাসের ছেলে মীরের পুত্র কবিতার সেনাপতি, কবিতার শেষ আলোকিত ভোরে তিনি আনন্দ গতি। ডাবের মতোন…
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারিআমি কি ভুলিতে পারিছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু ঝরা এ ফেব্রুয়ারিআমি…