কবিতার খাতা

একা – বীথি চট্টোপাধ্যায়
আমার চোখে বসন্ত দারুণ চৈত্রমাসচতুর্দিকে শিমূল-পলাশ কৃষ্ণচূড়ার ত্রাস। ঝড় উঠেছে নিখুঁত কালো বৃষ্টি ভেজা রাতআঁচল দিয়ে দুঃখ ঢাকি কোথায় তোমার…
আমার চোখে বসন্ত দারুণ চৈত্রমাসচতুর্দিকে শিমূল-পলাশ কৃষ্ণচূড়ার ত্রাস। ঝড় উঠেছে নিখুঁত কালো বৃষ্টি ভেজা রাতআঁচল দিয়ে দুঃখ ঢাকি কোথায় তোমার…
এই যে তুমি মস্ত মুমিন, মুসলমানের ছেলে;বক্ষ ভাসাও, ফিলিস্তিনে খুনের খবর পেলে।রোহিঙ্গাদের দুঃখে তুমি এমন কাঁদা কাঁদো;ভাসাও পুরো আকাশ-পাতাল, ভাসাও…
আমি কখনোই কারো প্রিয় হতে পারিনি —না ঘরে, না বাইরে;না বাইরে, না ভিতরে;না ভিতরে, না ইতরে! আমি কখনোই কারো প্রিয়…
ডাকবে শুধু আমায় তুমিথাকবে শুধু আমার পাশেথাকবে তুমি। কাঁদলে শুধু কাঁদবো আমিবিজন রাতে একলা আমিতোমার পাশে। জোনাক আলো জ্বালবো আমিযেথায়…
কান্না রেখে একটুখানি বসদুঃখ-ঝোলা একেক করে খোল…দেখাও তোমার গোপন ক্ষতগুলোএ ক’দিনে গভীর কতো হল।ও মেয়ে, শুনছ !বাইরে খানিক মেলে দাও…
তোমার কাছে আমি যে কবিতা শুনেছিএখন পর্যন্ত তা-ই আমার কাছে কবিতার সার্থক আবৃত্তি;যদিও তুমি কোনো ভালো আবৃত্তিকার নও, মঞ্চেওতোমাকে কেউ…
প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্যধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্যকাটফাটা রোদ সেঁকে চামড়া। চিমনির মুখে শোনো সাইরেন-শঙ্খ,গান…
আমাদের সেই কথোপকথন, সেইবাক্যালাপগুলিটেপ করে রাখলেপৃথিবীর যে-কোনো গীতি কবিতারশ্রেষ্ঠ সংকলনহতে পারতো; হয়তো আজ তার কিছুইমনে নেইআমার মনে সেই বাক্যালাপগুলিনিরন্তর শিশিরহয়ে…
যে ছেলেটা বস্তা কাঁধে কাগজ কুড়োয় পাড়ায় পাড়ায়যে ছেলেটা রোজ বাজারে মুরগি কাটে , পালক ছাড়ায়,যে ছেলেটা রেস্তোরাঁতে ধুচ্ছে থালা-গেলাস-বাটিযে…
তুমি যে-সব ভুল করতে সেগুলো খুবই মারাত্মক ছিল। তোমারকথায় ছিল গেঁয়ো টান, অনেকগুলো শব্দের করতে ভুলউচ্চারণ: ‘প্রমথ চৌধুরী’কে তুমি বলতে…