মায়ের বাড়িতে থাকে বাবার মলিন ছবি
ভাঙা টালি, লাউলতা, ঝড়…
মাঝেমাঝে যাই।
ঘুরঘুর করি।
আমার নতুন বাড়ি মা-কে আনতে চাই,
মা আসবে না…
মেয়েকে আদর করে মা শুধু ফোঁপায়।
বাবা নেই … আমগাছ নেই…
বন্যায় বকুল গাছ মৃত…
যে-কোনও সীমান্তে তারা জানি
মা-কে পাহারাটি দিত।
মা এখন শূন্যতার জাদু নিয়ে বাঁচে!
বৃষ্টি এলে বাবার ছবিতে
দেখেছি মা ছেঁড়াফাটা ছাতা ধরে আছে…
মায়ের চোখের জল মুছে দিয়ে ওই
আমার মেয়েটি বলে—
ও ঠাম্মা! বাগানে ফুটে আছে
ঝুমকোলতার ফুল…
আমাদের বাড়ি যাবে?
মা আসবে না…
মা কেবল মেয়েকে বলবে,
বুড়োব্যাটা হাড়মাস জ্বালিয়ে খেয়েছে…
মা কেবল মেয়েকে বলবে,
তোর বাবা আমাকে দ্যাখেনি…
মা কেবল … মা কেবল…
বোবা হয়ে পাশে বসে থাকি।
কী বলব? টের পাই
মায়ের মতন মেঘে মহামায়া বিদ্যুৎঝিলিক।
আত্মাসুদ্ধু কেঁপে উঠি আমি।
কবিতার গোলকধাঁধায়
এতকাল ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত
সম্পর্কহারানো ছেলে মনে মনে রক্তবমি করি!
এই নাও কবি পরিচিতি…
এই নাও গুটিকয় বই কবিতার…
এই নাও পায়ে-ধরে কেঁদে-কেটে পাওয়া পুরস্কার…
আমার কবিতা-পোড়া দিনগুলি নাও–
শুধু,
মা, তুমি আমার বাড়ি থাকো
বাকিটা জীবন…
সমস্ত মৃত্যুর থাকে জন্মটির কাছে দেনা!
দুঃখ এক চিরসম্মোহন।
খিদের কলোনি ছেড়ে
মা আসবে না…
মা আসবে না…
আরো কবিতা পড়তে ক্লিক করুন। বিভাস রায়চৌধুরী।
মা আসবে না – বিভাস রায়চৌধুরী | বাংলা কবিতা বিশ্লেষণ
বিভাস রায়চৌধুরী রচিত “মা আসবে না” বাংলা সাহিত্যের একটি মর্মস্পর্শী কবিতা, যেখানে কবি বিভাস রায়চৌধুরী মাতৃস্নেহ ও পারিবারিক সম্পর্কের গভীর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। কবিতাটির প্রথম লাইন “মায়ের বাড়িতে থাকে বাবার মলিন ছবি” পাঠককে সাথে সাথেই এক গভীর আবেগিক জগতে নিয়ে যায়। বিভাস রায়চৌধুরীর এই কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতায় মাতৃভক্তির গভীর প্রকাশ দেখা যায়।
মা আসবে না কবিতার সারাংশ
বিভাস রায়চৌধুরীর “মা আসবে না” কবিতায় কবি বিভাস রায়চৌধুরী মায়ের সাথে দূরত্ব ও বিচ্ছিন্নতার বেদনাকে চিত্রিত করেছেন। কবি বিভাস রায়চৌধুরী দেখিয়েছেন কীভাবে একজন সন্তান তার মাকে কাছে পেতে চায় কিন্তু মা আসবে না বলে বারবার জানায়। বিভাস রায়চৌধুরীর এই কবিতায় পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতা ফুটে উঠেছে। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতায় মায়ের বাড়ির নস্টালজিক বর্ণনা খুবই জীবন্ত। বিভাস রায়চৌধুরীর লেখনীতে মাতৃস্নেহের আকাঙ্ক্ষা খুবই শক্তিশালীভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
মা আসবে না কবিতার রূপক বিশ্লেষণ
বিভাস রায়চৌধুরীর “মা আসবে না” কবিতায় “বাবার মলিন ছবি” অতীত স্মৃতির প্রতীক। “ভাঙা টালি, লাউলতা, ঝড়” পুরনো দিনের প্রতীক। “শূন্যতার জাদু” একাকীত্বের রূপক। বিভাস রায়চৌধুরীর রূপক ব্যবহার খুবই অর্থবহ। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতায় “বকুল গাছ মৃত” হারানো সুখের প্রতীক। বিভাস রায়চৌধুরীর “ছেঁড়াফাটা ছাতা” ভাঙ্গা আশ্রয়ের রূপক। বিভাস রায়চৌধুরীর রূপকগুলি কবিতাকে বিশেষ মাত্রা দান করেছে।
বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতার উদ্দেশ্য
বিভাস রায়চৌধুরীর “মা আসবে না” কবিতায় মূল উদ্দেশ্য ছিল মातৃস্নেহের আকাঙ্ক্ষা ও পারিবারিক বিচ্ছিন্নতার গভীরতা তুলে ধরা। বিভাস রায়চৌধুরী এই কবিতার মাধ্যমে পাঠকদের মনে পারিবারিক বন্ধনের গুরুত্ব বোঝাতে চেয়েছেন। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতায় সামাজিক সম্পর্কের জটিলতা ফুটে উঠেছে। বিভাস রায়চৌধুরীর লেখনীতে মানবিক সম্পর্কের গভীরতা প্রকাশ পেয়েছে। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতা বাংলা সাহিত্যে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
মা আসবে না কবিতার আবেগ
বিভাস রায়চৌধুরীর “মা আসবে না” কবিতায় গভীর বিষাদ, একাকীত্ব ও মাতৃস্নেহের জন্য ব্যাকুলতা ফুটে উঠেছে। কবি বিভাস রায়চৌধুরীর ভাষায় “মা আসবে না…” – এই পুনরাবৃত্তির মধ্যে যে হতাশা ও বেদনা রয়েছে, তা পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতায় “আত্মাসুদ্ধু কেঁপে উঠি আমি” – এই লাইনে আত্মিক কম্পনের যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা খুবই শক্তিশালী। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতার আবেগিক গভীরতা বাংলা সাহিত্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতায় মানবিক অনুভূতির স্বরূপ খুবই সূক্ষ্মভাবে চিত্রিত হয়েছে।
মা আসবে না কবিতার কাঠামো
বিভাস রায়চৌধুরীর “মা আসবে না” কবিতাটির কাঠামো খুবই স্বতন্ত্র। বিভাস রায়চৌধুরী repetitive pattern ব্যবহার করেছেন – “মা আসবে না” এই বাক্যাংশটি বারবার ব্যবহার করে কবি মাতৃস্নেহের অভাবে সন্তানের যে যন্ত্রণা তা emphasize করেছেন। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতায় narrative style এ গল্প বলার technique ব্যবহার করা হয়েছে। বিভাস রায়চৌধুরীর ভাষায় একটি গদ্যিক flow রয়েছে যা কবিতাকে বিশেষ প্রাণবন্ততা দিয়েছে। বিভাস রায়চৌধুরীর শব্দচয়নে uncommon simplicity এবং profound emotional depth এর combination লক্ষ্য করা যায়।
মা আসবে না কবিতার সামাজিক প্রেক্ষাপট
বিভাস রায়চৌধুরীর “মা আসবে না” কবিতায় বাংলা সমাজের পারিবারিক বন্ধন ও প্রজন্মগত দূরত্বের ছোঁয়া রয়েছে। বিভাস রায়চৌধুরী contemporary society এর পরিবার কাঠামো এবং আধুনিক জীবনের চাপে পারিবারিক সম্পর্কের যে অবক্ষয় ঘটছে, তা তার কবিতার background হিসেবে ব্যবহার করেছেন। বিভাস রায়চৌধুরীর এই কবিতার মাধ্যমে তিনি শহুরে জীবন ও গ্রামীণ জীবনের মধ্যে সৃষ্ট দূরত্বকেও স্পর্শ করেছেন। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতা বাংলা সাহিত্যে সামাজিক বাস্তবতার গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বিভাস রায়চৌধুরীর লেখনীতে সমকালীন সমাজের প্রতিফলন খুবই স্পষ্ট।
মা আসবে না কবিতা FAQ
মা আসবে না কবিতার রচয়িতা কে?
মা আসবে না কবিতার রচয়িতা বিভাস রায়চৌধুরী। বিভাস রায়চৌধুরীর মা আসবে না কবিতাটি খুবই জনপ্রিয়। বিভাস রায়চৌধুরীর এই কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কবিতা। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতায় মাতৃভক্তির গভীর প্রকাশ দেখা যায়।
মা আসবে না কবিতার প্রথম লাইন কী?
মা আসবে না কবিতার প্রথম লাইন “মায়ের বাড়িতে থাকে বাবার মলিন ছবি”। বিভাস রায়চৌধুরীর এই প্রথম লাইনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতার শুরুই পাঠককে মাতৃস্নেহের জগতে নিয়ে যায়। বিভাস রায়চৌধুরীর এই প্রথম লাইনটি বাংলা কবিতার একটি অবিস্মরণীয় পঙ্ক্তি।
মা আসবে না কবিতার মূল বিষয় কী?
মা আসবে না কবিতার মূল বিষয় হলো মাতৃস্নেহের আকাঙ্ক্ষা ও পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা। বিভাস রায়চৌধুরী এই কবিতায় মায়ের সাথে দূরত্বের বেদনা প্রকাশ করেছেন। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতায় সন্তানের মাতৃস্নেহের জন্য আকুতি খুবই মর্মস্পর্শী। বিভাস রায়চৌধুরীর লেখনীতে পারিবারিক সম্পর্কের গভীরতা ফুটে উঠেছে। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতা পাঠকদের গভীরভাবে নাড়া দেয়।
বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতার বৈশিষ্ট্য কী?
বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতায় সাধারণত গভীর মানবিক আবেগ, পারিবারিক সম্পর্ক এবং সামাজিক বাস্তবতার প্রকাশ ঘটে। বিভাস রায়চৌধুরীর ভাষায় emotional depth এবং narrative quality এর uncommon combination দেখা যায়। বিভাস রায়চৌধুরীর কবিতা বাংলা সাহিত্যে তার স্বতন্ত্র স্বাক্ষর রেখেছে। বিভাস রায়চৌধুরীর লেখনী শৈলী খুবই অনন্য এবং প্রভাবশালী।
© Kobitarkhata.com – কবি: বিভাস রায়চৌধুরী | মা আসবে না কবিতা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ