কবিতার খাতা

আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে- তারাপদ রায়।
আমরা যে গাছটিকে কৃষ্ণচূড়া ভেবেছিলাম,যার উদ্দেশে ধ্রূপদী বিন্যাসে কয়েক অনুচ্ছেদপ্রশস্তি লিখেছিলামগতকাল বলাইবাবু বললেন, ‘ঐটি বানরলাঠি…
জন্ম তারিখ: ১৭ নভেম্বর ১৯৩৬
জন্মস্থান: টাঙ্গাইল, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু: ২৫ আগস্ট ২০০৭
সমাধি: কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
তারাপদ রায় ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি, ছোটগল্পকার ও প্রাবন্ধিক, যিনি বাংলা সাহিত্যে ব্যঙ্গ, রম্যরচনা ও মানবিক অনুভূতির সংমিশ্রণে স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘তোমার প্রতিমা’, ‘কোথায় যাচ্ছেন তারাপদবাবু’, ‘নীল দিগন্তে এখন ম্যাজিক’ এবং ‘ভালো আছো গরীব মানুষ’।
তিনি ‘নক্ষত্র রায়’ ও ‘গ্রন্থকীট’ ছদ্মনামে লিখতেন এবং তাঁর রম্যরচনাগুলি বাংলা সাহিত্যে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অধিকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং সাহিত্য ও প্রশাসনে সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন।

আমরা যে গাছটিকে কৃষ্ণচূড়া ভেবেছিলাম,যার উদ্দেশে ধ্রূপদী বিন্যাসে কয়েক অনুচ্ছেদপ্রশস্তি লিখেছিলামগতকাল বলাইবাবু বললেন, ‘ঐটি বানরলাঠি…

অনেকদিন পর কাগজ-কলম নিয়ে বসেপ্রথম একটা চাঁদের ছবি আঁকি, সঙ্গে কিছু মেঘ। তারপর যথেষ্ট হয়নি…

আমি নিতান্ত গরীব ছিলাম, খুবই গরীব।আমার ক্ষুধার অন্ন ছিল না,আমার লজ্জা নিবারণের কাপড় ছিল না,আমার…

আমরা যারা দিন আনি, দিন খাই,আমরা যারা হাজার হাজার দিন খেয়ে ফেলেছি,বৃষ্টির দিন, মেঘলা দিন,…

অনেকদিন পর কাগজ-কলম নিয়ে বসেপ্রথম একটা চাঁদের ছবি আঁকি, সঙ্গে কিছু মেঘ। তারপর যথেষ্ট হয়নি…

সব কথা তোমাকে জানাবো ভেবেছিলামকিনে এনেছিলাম আকাশী রঙের বিলিতি হাওয়াই চিঠিসে চিঠির অক্ষরে অক্ষরে লেখা…