নিৰ্জন স্বাক্ষর- জীবনানন্দ দাশ।

কবিতা “নিৰ্জন স্বাক্ষর” – জীবনানন্দ দাশ – বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা

এই কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের একটি উল্লেখযোগ্য রচনা, যেখানে মানবিক সম্পর্ক, সময়ের গতি ও অস্তিত্বের গভীর প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কবিতাটির ভাষা ও শৈলী বাংলা সাহিত্যে অনন্য স্থান দখল করে আছে।

কবিতার সারাংশ

কবিতাটি প্রেম, বিচ্ছেদ ও সময়ের অমোঘ গতির মধ্যে মানবিক সম্পর্কের টিকে থাকার প্রশ্ন তুলেছে। কবির আত্মার সঙ্গে প্রিয় মানুষের সম্পর্কের গভীরতা ফুটে উঠেছে কবিতার প্রতিটি স্তবকে।

রূপক বিশ্লেষণ

কবিতায় হেমন্তের ঝড়, পথের পাতা, শিশিরের জল, নক্ষত্র等重要 রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। হেমন্তের ঝড়象征着পরিবর্তন ও বিচ্ছেদ, পথের পাতা মানব জীবনের ক্ষণস্থায়ীতা, আর শিশিরের জল代表বিস্মৃতি ও আবেগের চিহ্ন।

কবির উদ্দেশ্য ও সাহিত্যধারা

জীবনানন্দ দাশ বাংলা সাহিত্যের রোমান্টিক ও আধুনিক ধারার的重要 কবি। তিনি এই কবিতায় মানব হৃদয়ের গভীরতম чувাবেগ ও অস্তিত্বের জটিল প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।

আবেগ বিশ্লেষণ

এই কবিতায় ভালোবাসার গভীরতা, বিচ্ছেদের ব্যথা, সময়ের প্রতি প্রশ্ন ও মানবিক সম্পর্কের নিশ্চয়তা নিয়ে জটিল আবেগ的表达 করা হয়েছে। কবির আবেগ গভীর ও বহুমাত্রিক।

মেটা ডেসক্রিপশন

জীবনানন্দ দাশের কবিতা “নিৰ্জন স্বাক্ষর” এর বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা। কবিতার রূপক, উদ্দেশ্য এবং আবেগপূর্ণ বিশ্লেষণ যা SEO জন্য উপযোগী।

FAQ (প্রশ্ন ও উত্তর)

কবিতাটি কোন সাহিত্যধারায় পড়ে?

এটি বাংলা সাহিত্যের আধুনিক ও রোমান্টিক ধারার অন্তর্গত একটি কবিতা।

কবিতার মূল রূপক কী?

হেমন্তের ঝড়, পথের পাতা, শিশিরের জল ও নক্ষত্র Important রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

কবিতাটির প্রথম লাইন কী?

কবিতাটির প্রথম লাইন: “তুমি তা জানো না কিছু—না জানিলে”

জীবনানন্দ দাশের সাহিত্যকর্মের বৈশিষ্ট্য কী?

তাঁর কবিতায় প্রকৃতির রূপক, মৃত্যুচেতনা, নাগরিক জীবন ও গ্রামীণ বাংলার চিত্র বিশেষভাবে উঠে এসেছে।

© Kobitarkhata.com – কবি: জীবনানন্দ দাশ

তুমি তা জানো না কিছু—না জানিলে,
আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে;
যখন ঝরিয়া যাবো হেমন্তের ঝড়ে’—
পথের পাতার মতো তুমিও তখন
আমার বুকের ’পরে শুয়ে রবে?
অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন
সেদিন তোমার!
তোমার এ জীবনের ধার
ক্ষ’য়ে যাবে সেদিন সকল?
আমার বুকের ’পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল,
তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই;
শুধু তার স্বাদ
তোমারে কি শান্তি দেবে;
আমি ঝ’রে যাবো–তবু জীবন অগাধ
তোমারে রাখিবে ধ’রে সেইদিন পৃথিবীর ’পরে,
—আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে।

রয়েছি সবুজ মাঠে—ঘাসে—
আকাশ ছডায়ে আছে নীল হ’য়ে আকাশে-আকাশে;
জীবনের রং তবু ফলানো কি হয়
এই সব ছুঁয়ে ছেনে’;—সে এক বিস্ময়
পৃথিবীতে নাই তাহা—আকাশেও নাই তার স্থল,
চেনে নাই তারে ওই সমুদ্রের জল;
রাতে-রাতে হেঁটে-হেঁটে নক্ষত্রের সনে
তারে আমি পাই নাই; কোনো এক মানুষীর মনে
কোনো এক মানুষের তরে
যে-জিনিস বেঁচে থাকে হৃদয়ের গভীর গহ্বরে

নক্ষত্রের চেয়ে আরো নিঃশব্দ আসনে
কোনো এক মানুষের তরে এক মানুষীর মনে।

একবার কথা ক’য়ে দেশ আর দিকের দেবতা
বোবা হয়ে পড়ে থাকে—ভুলে যায় কথা;
যে-আগুন উঠেছিলো তাদের চোখের তলে জ্ব’লে
নিভে যায়—ডুবে যায়—তারা যায় স্খ’লে।
নতুন আকাঙ্ক্ষা আসে—চ’লে আসে নতুন সময়—
পুরানো সে-নক্ষত্রের দিন শেষ হয়
নতুনেরা আসিতেছে ব’লে;
আমার বুকের থেকে তবুও কি পড়িয়াছে স্খ’লে
কোনো এক মানুষীর তরে
যেই প্রেম জ্বালায়েছি পুরোহিত হয়ে তার বুকের উপরে।
আমি সেই পুরোহিত—সেই পুরোহিত।
যে-নক্ষত্র ম’রে যায়, তাহার বুকের শীত
লাগিতেছে আমার শরীরে—
যেই তারা জেগে আছে, তার দিকে ফিরে
তুমি আছো জেগে—
যে-আকাশ জ্বলিতেছে, তার মতো মনের আবেগে
জেগে আছো;
জানিয়াছো তুমি এক নিশ্চয়তা—হয়েছো নিশ্চয়।
হ’য়ে যায় আকাশের তলে কতো আলো—কতো আগুনের ক্ষয়;
কতোবার বর্তমান হ’য়ে গেছে ব্যথিত অতীত—
তবুও তোমার বুকে লাগে নাই শীত
যে-নক্ষত্র ঝ’রে যায় তার।
যে-পৃথিবী জেগে আছে, তার ঘাস—আকাশ তোমার।
জীবনের স্বাদ ল’য়ে জেগে আছো, তবুও মৃত্যুর ব্যথা দিতে
পারো তুমি;
তোমার আকাশে তুমি উষ্ণ হ’য়ে আছো—তবু—
বাহিরের আকাশের শীতে

নক্ষত্রের হইতেছে ক্ষয়,
নক্ষত্রের মতন হৃদয়
পড়িতেছে ঝ’রে—
ক্লান্ত হ’য়ে—শিশিরের মতো শব্দ ক’রে।
জানোনাকো তুমি তার স্বাদ—
তোমারে নিতেছে ডেকে জীবন অবাধ,
জীবন অগাধ।

হেমন্তের ঝড়ে আমি ঝরিব যখন
পথের পাতার মতো তুমিও তখন
আমার বুকের ’পরে শুয়ে রবে?
অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন
সেদিন তোমার।
তোমার আকাশ—আলো—জীবনের ধার
ক্ষ’য়ে যাবে সেদিন সকল?
আমার বুকের ’পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল
তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই, শুধু তার স্বাদ
তোমারে কি শান্তি দেবে।
আমি চ’লে যাবো—তবু জীবন অগাধ
তোমারে রাখিবে ধ’রে সেইদিন পৃথিবীর ’পরে;
আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে।

আরো কবিতা পড়তে ক্লিক করুন। জীবনানন্দ দাশ।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x