কবিতার খাতা
কবিতার সেনাপতি-আবদুল হাই শিকদার
তিতাসের ছেলে মীরের পুত্র কবিতার সেনাপতি, কবিতার শেষ আলোকিত ভোরে তিনি আনন্দ গতি। ডাবের মতোন চাঁদ তাঁরই দেখা সবুজের চুলে ফুল, তেরশ’ নদীর এই কোলাহলে আল মাহমুদই কূল। আল মাহমুদ আল মাহমুদ রাবেয়া মায়ের ধ্বনি, কবিতার পথে হাজার বছর তিনি মরকত মনি। কালের কলসে ঢেউয়ের নকশা সোনালী কাবিনে গান, আল মাহমুদই উপসংহার সত্যের সন্ধান। ‘ফাবি আইয়্যি আলার’ জ্যোতিতে ভাসে তার সাম্পান শহর দখলে কালো মানুষেরা গাবে তার জয়গান। সম্পদ করো সমবণ্টন শোষণ মুক্ত দিন, উপড়ে ফেলবে সব পরগাছা সবুজের সঙ্গীন। পানকৌড়ির রক্ত ভেজানো এই উপমহাদেশ, মায়াবী পর্দা দোলাতে দোলাতে নেবে তারই উদ্দেশ। সব তার চিনি কবিতার তিনি কাল ছিল মেকি ভুয়া, সেই অন্ধকারে সৃজনের নদী হঠাৎ গিয়েছে খোয়া। খোয়া যায়নিকো হারায়নি কিছু পথে পথে কলরব, আল মাহমুদ অজর অমর দেখো তার উৎসব। গ্যেটে বায়রন রুমী নজরুল জসীম জীবনানন্দ সেই মিছিল দেখে আবেগে আকুল স্বয়ং পরমানন্দ। আকাশের সব পর্দা সরায়ে নেমে আসে জান্নাত, ফেরেশতা আর হুরপরী দল ধরে এসে তার হাত। ক্ষীরের মতোন নরম মাটির কবি তো এসেছে দেখো, তার নাম ঘিরে কোটি জনমের কোটি বিশেষণ লেখো। আল মাহমুদ গিফারীর রুহু বখতিয়ারের ভাই তারই পথ ধরে এগোবে মানুষ সে কথাটা বলে যাই।