কবিতার খাতা

যেতে পারবে ? – রুদ্র গোস্বামী।
এই যে তুমি বার বার চলে যাই বলোধরো তুমি চলে গেছোখানিকক্ষণ পর ফিরে এসে যদি দেখোকষ্টে ভিজে যাচ্ছে আমার বুকআমার…
এই যে তুমি বার বার চলে যাই বলোধরো তুমি চলে গেছোখানিকক্ষণ পর ফিরে এসে যদি দেখোকষ্টে ভিজে যাচ্ছে আমার বুকআমার…
কুড়ি বছর ফিরে পেতাম যদিনতুন করে সাজিয়ে নিতাম ঘুঁটিআমি তখন পঁচিশ বসন্তেরযেন ভিনাস, সাগর থেকে উঠি। কুড়ি বছর ফিরে পেতাম…
আমি এখন একাকী মাঝরাতমাধুরীলতা পাশে ঘুমিয়ে আছে,তুমি এখন শিলাইদহে বোটেনিবিড় চিঠি ইন্দিরার কাছে। তোমার বোটে জ্যোৎস্না ফটফটেআমার কথা ভুলে যাবার…
স্বামীজিকে নিয়ে লেখা কবির কবিতা একটা ছেলে ছোট্টবেলায়মুসলমানের তামাক খেলো,আমেরিকায় সহজ করেউপনিষদ বুঝিয়ে এলো। একটা ছেলে ধর্ম মানেদয়ার মতো হয়না…
রথের মেলা দেখতে আমার বেশ লাগে ;ভেতরে হাত-পা-গুটানো জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরামবাইরে হাজার মানুষ রথ টানছে, রথ টানছে…এই রথের মেলা নিয়েই…
বোহেমিয়ান হতে চেয়েছিলাম,এক মুঠো হাওয়া হতে চেয়েছিলামচেয়েছিলাম খালি পায়ে শিশির জড়ানো ঘাসে পা রাখতেবিনা কারণেই কোনো ট্রেন ধরে দূরেএএএএএ চলে…
কথা ছিলো রক্ত-প্লাবনের পর মুক্ত হবে শস্যক্ষেত,রাখালেরা পুনর্বার বাশিঁতে আঙুল রেখেরাখালিয়া বাজাবে বিশদ।কথা ছিলো বৃক্ষের সমাজে কেউ কাঠের বিপনি খুলে…
না আমি আসিনি ওল্ড টেস্টামেন্টের প্রাচীন পাতা ফুঁড়ে,দুর্বাশাও নই, তবু আজ এখানে দাঁড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতে অভিশাপ দিচ্ছি।আমাদের বুকের ভেতর…
কারাগারের ভিতরে পড়েছিল জোছনাবাইরে হাওয়া, বিষম হাওয়াসেই হাওয়ায় নশ্বরতার গন্ধতবু ফাঁসির আগে দীনেশ গুপ্ত চিঠি লিখেছিল তার বৌদিকে,“আমি অমর, আমাকে…
একমুঠো বৃষ্টি চাইআর কিছু না হলেও চলবেখরায় পুড়েছে কন্ঠখানিকিভাবে ভালবাসি বলবে? আঁচল পেতেছি ঝড়ো বাতাসের আশায়হতাশ আমি মেঘেদের ভাষায়।আমার হৃদয়ে…